অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনে ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফাইজার-বায়োএনটেকের বিরুদ্ধে প্যাটেন্ট লঙ্ঘন করার অভিযোগে মামলা করেছে মডার্না। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের জেলা আদালতে এবং জার্মানির ডুসেলডর্ফের আঞ্চলিক আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা টিকাকে প্রথম অনুমোদন দেয়। এর এক সপ্তাহ পর অনুমোদন পায় মডার্নার টিকা। এই বছর করোনা টিকা থেকে মডার্না আয় করেছে ১০.৪ বিলিয়ন ডলার। আর ফাইজারের টিকা থেকে আয় এসেছে ২২ বিলিয়ন ডলার।
মডার্নার বিবৃতিতে বলা হয়, অনুমতি ছাড়া ফাইজার-বায়োএনটেক তাদের এমআরএনএ প্রযুক্তি কপি করেছে। তবে মহামারির শুরুতে মডার্না জানিয়েছিল, অন্যরা যাতে করোনার টিকা উদ্ভাবন করতে পারে সেজন্য তারা নিজেদের করোনা টিকার প্যাটেন্ট প্রয়োগ করবে না। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর ওপর।
কিন্তু ২০২২ সালের মার্চ মাসে মডার্না জানায়, তাদের প্রত্যাশা ফাইজার-বায়োএনটেকের মতো কোম্পানিগুলো মেধাস্বত্ব অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। কোম্পানিটি আরও বলেছিল, ২০২২ সালের ৮ মার্চের আগে তারা কোনও ক্ষতিপূরণ চাইবে না।
এর আগেও ফাইজার-বায়োএনটেকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। গত জুলাই মাসে জার্মানির কিউরভ্যাক জার্মানিতে বায়োএনটেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ওই সময় এক বিবৃতিতে বায়োএনটেক দাবি করেছে, তাদের কাজ মৌলিক।
যুক্তরাষ্ট্রে মডার্নার বিরুদ্ধেও প্যাটেন্ট লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা হয়েছে এবং এমআরএনএ প্রযুক্তি নিয়ে মার্কিন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ-এর সঙ্গে মামলাটি এখনো চলমান রয়েছে।
মডার্নার প্রধান নির্বাহী স্টিফেন বানচেল বলেন, ‘আমরা উদ্ভাবনী এমআরএনএ প্রযুক্তি নিয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছি এবং কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছি। করোনা মহামারির আগের দশকে প্যাটেন্ট করেছি, তা রক্ষা করার জন্য আমরা এসব মামলা দায়ের করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১০ সালে আমরা ফাউন্ডেশনাল প্লাটফর্মটি নির্মাণ শুরু করেছিলাম। যা ২০১৫ ও ২০১৬ সালে আমাদের প্যাটেন্ট করা কাজের পাশাপাশি, তা মহামারির আঘাত হানার পর করোনার একটি নিরাপদ ও অত্যন্ত কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।’
ফাইজারের মুখপাত্র জেরিকা পিটস জানান, প্রতিষ্ঠানটিকে মামলা দেওয়ার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানে না। এ বিষয়ে এখন কোনো মন্তব্য করতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।