১. প্রেমের সঙ্গীত
আমি আগ্নেয়গিরির আগুনে পুড়ছি, তোর চোখে তাকিয়ে
হৃদয়জমিন পুড়েপুড়ে ছাই প্রেমের সঙ্গীতে;
কিছুকথা কিছুস্মৃতি রয়েছে হৃদয়ের গভীরে
বারবার পুড়ছি বেদনার নদীতে।
ঢেউ তুলে ভাঙ্গে মন কেউ দুরবার গতিতে
কিছুকিছু পরিচয় থেকে যায় চোখের ভাষাতে।
২. হতাশার গান
প্রেম নেই প্রেম নেই এযুগের কিনারে
তবু তোকে খুঁজে মরি ভালোবাসার মিনারে;
এলোমেলো চুল, করি শুধু ভুল, হৃদয়ের দুয়ারে
ওগো আমার সুন্দরী টিনারে।
কত কথা কত ব্যথা বুকের এ মাজারে
বুলবুলি গান শুনায় বেদনার সুরে।
৩. সোনার পাখি
লোহার খাঁচার সোনার পাখি
কেমনে তোমায় ধরে রাখি;
যা পাখি তুই উড়ে যা
ইচ্ছে মতো বাড়া পা।
তুই তো আমার ছিলি না
মনটা তুই দিলি না।
৪. ফিলিক্স পাখি
আবেগ যেন পাগলা ঘোড়া
কিছুই শুনে না,
ভালোবাসার ফিলিক্স পাখি
সেটাই বুঝে না।
কেউবা প্রেমে মালা গাঁথে
কেউবা গাঁথে না।
৫. রোমান্টিক পরিচয়
আমার দুই চোখে শুধু তুমি
অথচ তোমার দুই চোখে আমি নেই;
ঘুম নেই টুম নেই
দুনিয়াতে প্রেম নেই।
তবু প্রেমে থাকে শুধু টানাটানি
দুই জনার হলো জানাজানি।
৬. প্রেমের মন্ত্র
এযুগের মেয়েদের ভালোবাসার কথা বললে,
সখের ফুলদানি ভেঙ্গে ফেলে — অখুশি;
কিন্তু মাঝরাতে আদর করলে,
বড্ড হয় খুশি।
তাইতো এত রাত জাগাজাগি
চুপিচুপি রঙ মাখামাখি।
৭. প্রতীা
বুকের ভেতর জমা রেখেছি
তোমার দেওয়া একবিন্দু শিশির,
হাজার বছর ধরে দেখা নেই
রাতজাগা পাখি নিশির।
তবু প্রতীায় বসে আছি নীড়ে
নিঃসঙ্গতার ভাষাহীন দুয়ারে।
৮. হেমন্তী
কোন এক হেমন্তের পাতাঝরা পড়ন্ত বিকালে;
আমি বসে ছিলাম একা নির্জনে,
হলুদবর্ণের শাড়িতে সুদূরে উড়ে হাসছিলো এক তরুণী
হাজারো সুখের স্বপ্নের মাঝে ণেণে।
আমি কখনো ভাবিনি আমার ধূসর কল্পনার জগতে;
স্বচ্ছ সাদা হৃদয়ে এভাবে কেউ রঙিন দাগ এঁকে দিবে।
ও যেন ছিলো এক প্রাণবন্ত হরিণী;
ডাগর ডাগর কাজলকালো দুচোখের দুষ্ট চাহনি,
কখন যে আমার কঠিন মন চুরি করে নিয়ে গেল হেমন্তী
অদ্ভুৎ এক নেশাতে আমি বুঝতেই পারিনি।
হেমন্তের রিমঝিম বাতাসে কালো কেশের উত্তাল ঢেউ;
আমার মনে হচ্ছেছিল সে যেন অনেক দিনের চেনা কেউ।
আকাশে বুক চিড়ে আঁধার নামে আলোকিত পৃথিবীতে
নীড়ে ফিরা পাখিদের কলতান থেমে যায় দিকে দিকে;
শুধু থাকে আমাদের মুখোমুখি বসবার অপো
জোনাকিরা মিটিমিটি কথা বলে থেকে থেকে।
অতঃপর মায়াবী সুখ তারা মায়ার আলোকচিত্রে ফিরে
ঝিরিঝিরি বাতাস হিমহিম লাগে বাড়ি ফিরার দিকে।
দুপচাঁচিয়া, বগুড়া, বাংলাদেশ